প্রকাশিত:
২ মে ২০২৩, ০৬:৫৮
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুকুর পাড়ের কুঁড়েঘর এ মিললো বিষধর রাসেল ভাইপার। একসঙ্গে ৩২ টি বিষধর রাসেল ভাইপার এর বাচ্চা বাসা বানলো কুঁড়েঘররে। বাচ্চা গুলো কিছুটা বড় হওয়ায় সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। সোমবার (১মে ) পুকুর এর মালিক সকালে পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার সময় দেখতে পান বিষধর রাসেল ভাইপার এর বাচ্চা গুলোকে। পরে স্থানীয়রা এক ঘন্টা চেষ্টায় মেরে ফেলেন বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ এর বাচ্চা গুলো পরে মাটিতে পুঁতে ফেলেন।
সোমবার সকাল ১০ টার দিকে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের বালুগ্রাম এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ওই পুকুর ও কুঁড়েঘর এর মালিক মোঃ মোক্তার হোসেন। তিনি এই তথ্য জানান।
ওই সাপগুলো যে রাসেল ভাইপার এর প্রজাতির, তা নিশ্চিত করেছেন জেলা বন অধিদপ্তরে প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আর্চার্য্য।
পুকুর এর মালিক মোঃ মোক্তার হোসেন বলেন প্রায় ৮ বছর ধরে মাছ চাষ করছি, এই পুকুরের কিন্তু এর আগে এইরকম জাতের সাপ দেখিনি। আজ সকাল এ যখন মাছ এর খাবার দিতে গিয়ে এতো সাপ একসঙ্গে দেখি তখন ভয় পেয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় এক ঘন্টা চেষ্টায় সবগুলো
সাপ মেরে ফেলা হয়েছে। পরে সাপ গুলো পুকুরের পাড়ে গর্ত খুঁড়ে সেখানে পুঁতে ফেলেছি।
বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য্য বলেন, সাধারণত সাপ ডিম থেকে বাচ্চা ফোটায়। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রাসেল ভাইপার সাপ। দেশের সবচেয়ে বিষধর এ সাপ সরাসরি বাচ্চা জন্ম দেয়। সর্বোচ্চ ৪০টি পর্যন্ত বাচ্চা দিতে পারে এ জাতের সাপ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ বলেন, যে এলাকায় সাপের উপদ্রব বেশি, সেখানকার বাসিন্দাদের সচেতন হয়ে চলাফেরা করতে হবে। পাশাপাশি সাপে কামড়ালে ঝাঁড়-ফুক না করে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগের জন্য মানুষকে সচেতন করে তোলা উচিত। তবে রাসেল ভাইপার সাপ অধিক বিষধর হওয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি সময় খুবই কম পান। যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।
মন্তব্য করুন: