thecitybank.com
banglarkatha62@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২

ছাত্রলীগের সম্মেলনের টাকা নিজের গহনা বেচেঁ দিয়েছেন বঙ্গমাতা

নিজস্ব রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৯ আগষ্ট ২০২৩, ০১:০৭

সংগ্রহীত

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায়,
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ককে হত্যা করা হয়। খুব অল্প দেশে এ ধরনের উদাহরণ আছে যেখানে সেই রাষ্ট্রনায়কের সঙ্গে সঙ্গে তার স্ত্রী, ছেলে, পরিবারের প্রায় ১৭ জনকে হত্যা করা হয়। এমনকি ১০ বছরের ছোট্ট শিশুকেও হত্যা করা হয়। এটা বাঙালি জাতির জন্য একটা কলঙ্ক।

 

তিনি বলেন, যারা স্বীকৃত খুনি, যারা পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিল- তাদের পাঁচজন ধরা পড়েনি। তাদের এখনো কোনো বিচার হয়নি। এটা আমাদের জাতির জন্য দুঃখের বিষয়। আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। পাঁচজনের মধ্যে তিনজন কোথায় আছে আমরা জানি না। বাকি দুইজনের আমরা খবর জানি। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা যেসব দেশে আছে সেসব দেশ বিভিন্ন অজুহাতে তাদের বিচারের সম্মুখীন করছে না। আজ আমাদের দাবি হবে ঘাতকদের বিচার। ঘাতকরা যেন বিচারের সম্মুখীন হয়, সে ব্যবস্থার জন্য আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষ উদ্যোগ নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

 

আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গমাতা জাতির পিতার আদর্শ ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন। দেশপ্রেমের অগ্নি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার রাজনৈতিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বঙ্গমাতা নিজেকে যুক্ত করেছেন। তিনি সংগঠনকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন, সংগঠনের বিভিন্ন প্রান্তের নেতাদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ ছিল। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি থেকে তিনি অনেক মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। এছাড়াও দলীয় কার্যক্রম, আন্দোলন, সংগ্রামে নিজের অর্থ সম্পদ দিয়ে সাহায্য করেছেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গমাতা দেশের প্রথম ফার্স্ট লেডি হয়েও বিলাসী জীবন যাপন করেননি। নিরবে, নিভৃতে তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্য, বাংলাদেশের মানুষের জন্য শুধু দানই করে গেছেন। তার কাছে সহযোগিতা চেয়ে কেউ কখনো খালি হাতে ফিরে যায়নি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহীয়সী এই নারী একজন সার্থক সহধর্মিণী ও আদর্শ মাতা ছিলেন। অন্যদিকে তিনি নিজেকে একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গড়ে তোলেন। তার স্মরণশক্তি অত্যন্ত প্রখর ছিল। আন্দোলন চলাকালে সব ঘটনা জেলখানায় সাক্ষাতের সময় বঙ্গবন্ধুকে জানাতেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা নিয়ে আসতেন। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগকে সে নির্দেশনা জানাতেন।

আলোচনা সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন বক্তব্য রাখেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর