thecitybank.com
banglarkatha62@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২

দেশে সবুজ কারখানা এখন ২০০ টির ও বেশি

নিজস্ব রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৯ আগষ্ট ২০২৩, ০৬:২৩

ফাইল

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) পরিবেশসম্মত সবুজ কারখানার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন বা লিড সনদ পেয়েছে আরও দুই পোশাক কারখানা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এ সনদ দেয়। এ দুই কারখানার মধ্যে একটি হলো- লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড অপরটি লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড।

দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ নেতৃত্ব দেয় তৈরি পোশাকশিল্প। দশ বছর আগে রপ্তানির প্রধান এ খাতে পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সংখ্যা ছিল মাত্র একটি। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে ২০০ ছুঁয়েছে। পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা জানান, রপ্তানি বাড়াতে বড় অবদান রাখছে এ খাত।


এর আগে পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধার হাত ধরে ২০১২ সালে প্রথম পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার যাত্রা শুরু দেশে। পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডে স্থাপিত কারখানাটি হলো ‘ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও।’ এরপর একটার পর একটা সবুজ পোশাক কারখানা গড়ে উঠছে বাংলাদেশে। সবশেষ দুই কারখানা মিলে ২০০টি সবুজ কারখানার সনদ পেল দেশ।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতারা জানান, সবুজ কারখানা মানে বিশ্ব বাজারে ক্রেতার কাছে আলাদা কদর। এ কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গায়ে গ্রিন ট্যাগ সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ এ পণ্যটি কোন সবুজ কারখানায় উৎপাদিত। এ পণ্যটি বিদেশি ব্র্যান্ড এবং ক্রেতার কাছে আস্থা বাড়ে। সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতেও এগিয়ে থাকা যায়। মূল কথা সনদ দেশ ও পোশাকখাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়াতে সহায়তা করে।

 

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমরা আনন্দিত যে ইউএসজিবিসি সনদপ্রাপ্ত আরএমজি কারখানার সংখ্যা বাংলাদেশে দুইশ ছুঁয়েছে। ইউএসজিবির সনদ পাওয়া সবুজ কারখানার মধ্যে রয়েছে প্লাটিনাম ৭৩টি, গোল্ড ১১৩টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড চারটি। এতে সর্বমোট গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ২০০টিতে। বিশ্বের সেরা কিছু কারখানার আবাসস্থল বাংলাদেশ, বিশ্বের শীর্ষ ১৫টি লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ১৩টি বাংলাদেশে অবস্থিত।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর