thecitybank.com
banglarkatha62@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২

মাসুদ সাঈদী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তিন নেতাসহ অজ্ঞাতনামা ৫ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে

নিজস্ব রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১৭ আগষ্ট ২০২৩, ০১:২৩

নিজস্ব

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জব্বার বাদী হয়ে মামলা এই মামলা দায়ের করেন।

যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এলাকা এবং শাহবাগ মোড়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তিন নেতাসহ অজ্ঞাতনামা ৫ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।


মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- জামায়াতের সহকারী মহাসচিব হামিদুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ওরফে মাসুদ, ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম।


বুধবার (১৬ আগস্ট) শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তবে কাউকে এখনো এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি বলে জানান তিনি।


অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতে সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জামায়াতের ১১৬ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় পৃথক মামলা করে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গত সোমবার রাতে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সেই খবরে জামায়াত-শিবিরের হাজারো নেতা–কর্মী রাতেই বিএসএমএমইউ ও শাহবাগ এলাকায় ভিড় করেন। তারা বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক স্লোগান দেন। একপর্যায়ে মিছিল করে তারা শাহবাগ থেকে বাংলামোটর ও শাহবাগ মৎস্য ভবনের মোড় পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় শাহবাগের বারডেম ও বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী আটকা পড়েন। পুলিশ তাদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে পুলিশের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন তারা। সড়ক না ছেড়ে তারা সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। গতকাল ভোরের দিকে সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে তার নিজ বাড়িতে নেওয়ার সময় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা ইটের টুকরা, লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান এবং সরকারি কাজে বাধা দেন। তারা বিএসএমএমইউর ভেতরে সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতিসাধন করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেলও ছোড়েন এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশের গাড়ি, মোটরসাইকেল, সাঁজোয়া যানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সাঈদীর মরদেহ বহনকারী ফ্রিজিং ভ্যান বের করে আনে। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে জামায়াত–শিবিরের নেতা–কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর