প্রকাশিত:
৬ আগষ্ট ২০২৩, ০১:৩৬
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে চাদঁপুরের মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ইলিশের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। ভোলা, হাতিয়া, চরফ্যাশন, লক্ষ্মীপুর ও আশপাশের উপকূলীয় এলাকা থেকে ট্রলার ও ট্রাকে করে ইলিশ আসছে চাদঁপুরে।
চাঁদপুরের সবচেয়ে বড় পাইকারি মৎস্য আড়ত বড়স্টেশন মাছঘাটে ক্রমশ ইলিশের সরবরাহ বাড়ছে। বাংলাদেশের সীমানায় মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ২৩ জুলাই শেষ হয়েছে। এরপর থেকেই ইলিশে সরগরম মাছঘাট।
যদিও এখন চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের ঠিক তেমন দেখা না মিলছে না। তবে সাগর মোহনায় কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন আকারের ইলিশ ধরা পড়ছে। আর সেই ইলিশ চাঁদপুর ঘাটে নিয়ে আসছেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৯০ শতাংশ ইলিশই সাগর ও এর আশপাশের অঞ্চলের। বাকি ১০ শতাংশ মাছ পদ্মা-মেঘনার।
এদিকে সরবরাহ বাড়ায় ইলিশের দাম কিছুটা কমছে। বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩শো থেকে ১৫শো টাকায়। যা আগে ছিল ২২শো থেকে ২৫শো টাকা। আর ৫০০-৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১শো টাকায়।
বর্তমানে বাজারে সাগরের মোহনার ছোট ও মাঝারি ইলিশ বেশি আসছে। এছাড়া চাঁদপুরের স্থানীয় ইলিশের সাইজ একটু বড়।
চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটের ইলিশ ব্যবসায়ী বিপ্লব খান বলেন, ইলিশের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে স্থানীয় ইলিশ কম থাকায় এখনো দাম কমছে না। আজ ৩ কেজি ওজনের এক ইলিশ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুটি রাজা ইলিশ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ বাড়লে দাম আরও কমবে। বাজার লোকে লোকারণ্য। কিন্তু সেই তুলনায় ইলিশ কম।
ক্রেতা এসএম আমির বলেন, আমি ২৫ হাজার টাকার ইলিশ কিনেছি। দাম কম থাকলে আরও নেওয়া যেত। বেশ ভালো লাগছে চাঁদপুর থেকে ইলিশ কিনেছি। যদিও দাম তুলনামূলক বেশি। তবে বাইরের ইলিশের দাম আবার কম। এখানে প্যাকেটজাত খরচটা আরেকটু কমালে ক্রেতাদের সুবিধা হতো।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার বলেন, এবার মৌসুমের অর্ধেক শেষ হলেও স্থানীয় ইলিশ একবারেই কম। তবে মাছঘাটে প্রথমদিকে ইলিশের তেমন দেখা না মিললেও এখন দক্ষিাণাঞ্চলের ইলিশ আসছে। ছোট ইলিশের তুলনায় বাজারে বড় ইলিশের দাম একটু বেশি। আমরা আশাবাদি সহসাই ইলিশের সরবরাহ আরও বাড়বে।
মন্তব্য করুন: