প্রকাশিত:
৮ আগষ্ট ২০২৩, ০৮:২৬
বুয়েটের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার শিকার আরিফ রায়হান দ্বীপের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
সোমবার (৭ আগস্ট) দীপের বাবা শেখ আলী আজমের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। এসময় আর্থিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি দীপের হত্যাকারীদের বিচার না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তার বন্ধু ও স্বজনরা।
আর্থিক সহায়তা পেয়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান দীপের বাবা শেখ আলী আজম। তিনি বলেন, বুয়েটে এলেই দীপের শরীরের সেই ঘ্রাণ পাই এখনো। দীপকে কবর দিয়েছি ঠিকই, কিন্তু আমার দীপ জেগে আছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, আমরা চাই না এভাবে বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থীর প্রাণ যাক। বুয়েটের প্রতিটি হলে নিরাপত্তাব্যবস্থা এখন জোরদার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জরুরি প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা যেন আমাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন, সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও কড়াকড়ি করা হয়েছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ, বাংলাদেশ পরমাণু কমিশনের প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার, পরমাণু বিজ্ঞানী তানভীর হাসান তালাশ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) সম্মানী সহকারী সাধারণ সম্পাদক রনক আহসান প্রমুখ।
দ্বীপ বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলে তাকে মাথায় ও পিঠে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
এ ঘটনায় চকবাজার থানায় দ্বীপের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। হাসপাতালে ৮৪ দিন কোমায় থাকার পরে ২০১৩ সালের ২ জুলাই মারা যান দীপ।
এদিকে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা ১৭ এপ্রিল বুয়েটের মেজবাহউদ্দীন নামের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে। পরে দ্বীপ মারা গেলে ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়
মন্তব্য করুন: