প্রকাশিত:
১১ আগষ্ট ২০২৩, ১৯:০০
শুক্রবার (১১ আগস্ট) মাত্র কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে আবুল কালাম (৪০) সকাল ৬টার দিকে মারা যান এর আগে আজমল প্রামাণিক (৬০) বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে মারা যান।
৫ ঘটনা ব্যবধান কুষ্টিয়া কারাগারে ২ জন মারা যান।
দুজনই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার আব্দুল বারেক।
কয়েদি আজমল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের খলিল প্রামাণিকের ছেলে। তিনি হত্যা মামলায় ৩০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের শাজাহান আলী নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে কারাগারে ছিলেন আজমল।
অপর কয়েদি আবুল কালাম কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক মামলায় তিন মাসের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। গত ২৮ জুলাই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
কারাগার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজমল বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কারাগার থেকে তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার ১০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, শুক্রবার ভোরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আবুল কালামকেও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মারা যান। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানান, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের দুই কয়েদি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
জেল সুপার আব্দুল বারেক বলেন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে দুইজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন: