প্রকাশিত:
১৩ আগষ্ট ২০২৩, ১৯:৪০
শনিবার (১২ আগস্ট) আগামী ২২ আগস্ট বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ‘অহিংস’ হরতালের ডাক সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আগামী ২২ আগস্ট মঙ্গলবার দেশজুড়ে দিনব্যাপী ‘অহিংস’ হরতালের ডাক দিয়েছে প্রকৌশলী ম ইনামুল হকের নেতৃত্বাধীন সর্বজন বিপ্লবী দল।
রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সামনে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের দাবিতে দলটির আয়োজিত রোডমার্চ ও পথসভায় এই ঘোষণা দেন ম ইনামুল হক। হরতাল সফল করতে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ডান ও বাম ঘরনার গণতন্ত্রকামী ব্যক্তিদের নিয়ে আগামীকাল ১৩ আগস্ট রাজধানীর পরীবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মতবিনিময় সভাও আহ্বান করেছে রাজনৈতিক দলটি।
হরতালের বিষয়ে নিজের ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে সর্বজন বিপ্লবী দলের প্রধান এবং দেশপ্রেমিক মঞ্চ জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী ম ইনামুল হক লিখেছেন, আমাদের কথা, বাংলাদেশের রাজনীতি দেশের ভেতরে বা বাইরে থেকে কারোর স্বার্থে ‘রিমোট কন্ট্রোল’এ আর নয়। দেশের রাজনীতি হবে জনগণের স্বার্থে, জনগণের ইচ্ছায়। বাংলাদেশ হবে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’। এই দেশে রাজা নেই, তাই কোন প্রজাও নেই। এই দেশটা কারোর বাপেরও নয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই দেশ সকলের, সর্বজনের। কিন্তু এই দেশটা এখন চরম ক্ষমতালোভী এক ব্যক্তির কবলে পড়েছে। আমরা জনগণের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া, ডিজিটাল আইন বাতিল ও ‘জাতীয় সরকার’ এর অধীনে ভোটকেন্দ্র দখলমুক্ত, কালো আইন, কালো টাকামুক্ত নির্বাচন করার লক্ষ্যে ১৭ দফা রোড ম্যাপ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি নই, পরাজিতও নই, আমরা দেশপ্রেমিক শক্তি। বাংলাদেশকে এক ব্যক্তির শাসন থেকে মুক্ত করতে আমরা আওয়ামী বিএনপিসহ সকল দলের গণতন্ত্রকামীদেরকে আমাদের হরতাল সমর্থন করতে আহবান করছি। আমরা প্রতি শনিবার বিকেল ৪-৫টা শাহবাগে থাকছি। পরদিন সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র, পরিবাগে বিকেল ৪-৬টা ‘অবৈধভাবে চেপে থাকা শেখ হাসিনাকে বিদায় করতে ৯ দফা পূর্বশর্ত’ ও প্রস্তাবিত ‘জাতীয় সরকার’ এর ১৭ দফা রোডম্যাপ বিষয়ে মতবিনিময় করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা পঞ্চদশ সংশোধনীর ‘জাল সংবিধান’ দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না বলে মন্তব্য করে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে ২২ আগস্ট দেশব্যাপী পূর্ণদিবস অহিংস হরতাল পালনের আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে গেল বছরের ২৫ ডিসেম্বর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে দলীয় প্রচারপত্র বিলি করার সময় সর্বজন বিপ্লবী দলের আহ্বায়ক ম ইনামুল হককে কৃষক লীগ কর্মীর মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় আলোচনায় আসে বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালকের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক সংগঠন সর্বজন বিপ্লবী দল।
মন্তব্য করুন: