thecitybank.com
banglarkatha62@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২

শ্যালীকে ধর্ষণ করাই দুলাভাইয়ের যাবজ্জীবন

নিজস্ব রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৬ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ০১:২২

সংগ্রহীত

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর দক্ষিণখানে ১৪ বছর বয়সী শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় দুলাভাই মো. কবির হোসেন সোহাগকে (৩২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুকে তার মা কিংবা মায়ের আত্মীয়-স্বজনের তত্ত্বাবধানে থাকবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম এ রায় দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাভোগ করতে হবে তাকে।

 


এদিন আসামির উপস্থিতিতে আদালতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। আসামি কবির হোসেন সোহাগ চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার আশকরবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।

 

রায়ে বিচারক বলেন, ‘ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ১৩ ধারা মোতাবেক তার মা কিংবা মায়ের আত্মীয়-স্বজনের তত্ত্বাবধানে থাকবে।’

শিশুটি তার জৈবিক পিতা মো. কবির হোসেন সোহাগ বা মাতা কিংবা উভয়ের পরিচয়ে পরিচিত হবে। এছাড়াও শিশুর বয়স ২১ হওয়া পর্যন্ত তার ভরণপোষণের ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবে। ভরণপোষণের জন্য দেওয়া অর্থ সরকার ধর্ষকের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে।

 


মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি সোহাগ সম্পর্কে ভুক্তভোগী কিশোরীর দুলাভাই। ভুক্তভোগীর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সে, তার মা ও আসামি একই বাসায় থাকতেন। ভুক্তভোগীর মা ও বোন চাকরি করেন। এ কারণে দিনের বেলায় তারা বাইরে থাকায় সুযোগ বুঝে বিভিন্ন সময়ে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন সোহাগ।


পরে একসময় ভুক্তভোগী সন্তানসম্ভবা হলে আসামি সোহাগ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে ভুক্তভোগীকে বাসায় আটক করে রাখেন। পরে ভুক্তভোগী ছেলে সন্তান জন্ম দেন। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

২০২১ সালের ৩১ জুলাই মামলাটি তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সাতজন আদালতে সাক্ষ্য দেন


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর