thecitybank.com
banglarkatha62@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২

রাশিয়া যুদ্ধে বিজয় হওয়া আগ পর্যাপ্ত সহযোগিতা করবে করিয়া

নিজস্ব রিপোর্ট

প্রকাশিত:
২ নভেম্বার ২০২৪, ১৬:০৫

সংগ্রহীত

শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানান, ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়াকে সহযোগিতার ঘোষণা দিলেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মস্কো সফরে, পুতিনের বিচক্ষণ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোরিয়ার উপদ্বীপে পারমানবিক যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরির অভিযোগও তোলেন শীর্ষ এই কর্মকর্তা।

প্রতিবেদনে বলা হয়,ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনা পাঠানো ইস্যুতে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে তখন মস্কো সফরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোই সন হুই। স্থানীয় সময় শুক্রবার, বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

একইদিন মস্কোয় বৈঠক করেন দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বিজয় অর্জনের দিন পর্যন্ত রাশিয়ার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সন হুই। মস্কোর জয়ের বিষয়ে আশাবাদও জানান তিনি।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোই সন হুই বলেন, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিজ্ঞ নেতৃত্বে রাশিয়ার সেনাবাহিনী এবং জনগণ অবশ্যই তাদের রাষ্ট্রের সার্বভৌম অধিকার রক্ষা করতে পারবে। এই সংগ্রামে বিজয় অর্জন করবে তারা। আবারও আশ্বস্ত করছি, বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া দৃঢ়ভাবে রাশিয়ার কমরেডদের পাশে থাকবো।

রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয় সেনা পাঠানোর অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি দুই দেশের নেতারা। তবে, রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দাবি, কিম জং উন ও ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে মস্কো-পিয়ংইয়ং সম্পর্ক। এছাড়াও, দুই দেশে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে সামরিক যোগাযোগ।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং কিম জং উনের কারণে আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গত কয়েক বছরে অভূতপূর্ব এক উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। আমাদের পক্ষে নীতিগত অবস্থানের জন্য কোরিয় বন্ধুদের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে খুবই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে।

কোরিয়া উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতার ব্যাপক সমালোচনা করেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অভিযোগ, অঞ্চলটিতে পারমাণবিক যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করেছে ওয়াশিংটন ও সিউল। শত্রুদের মোকাবেলায় পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক সক্ষমতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলেও মত দেন তিনি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর