প্রকাশিত:
২৯ জুলাই ২০২৩, ০৭:১৬
শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন। ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো গ্রাম্য টাউটদের মতো কাজ করছে আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের প্রোটেকশন দিয়ে যাচ্ছে’
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালনের আশপাশে আওয়ামী যুবলীগও স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে- বিষয়টি নিয়ে রিজভীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমরা কী করবো তাদের জিজ্ঞেস করেন? তাদের কর্মসূচির আগে আমরা কর্মসূচি দিয়েছি। যারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না, অসভ্য, সভ্যতার লেশমাত্র নেই, আমাদের দেশের গ্রাম্য টাউটরা যেসব কাজ করে আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো তাই করে। আর আইন রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কিছু বলছে না, টাউটদের প্রোটেকশন দিচ্ছে।
পুলিশ-প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যুবলীগকে বলতে পারছেন না কেন বিএনপির কর্মসূচির দিনে তারা কেন কর্মসূচি দিয়েছে? এটা তো বখাটেরা করে, গুন্ডা-পান্ডারা করে। আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনসমূহ তাই করছে।
বিএনপি অবস্থান কর্মসূচি পালনের বিষয়ে অনুমতি নেয়নি মহানগর পুলিশ কমিশনারের- এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, অনুমতি নেওয়া হয়নি, উনি ঠিক বলেননি। আমরা কর্মসূচি ঘোষণার সাথে সাথে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি।
চিঠির কোনো জবাব দিয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, জবাব কী? আমরা অবহিত করেছি। আর কোন কোন জায়গায় আমাদের নেতাকর্মীরা অবস্থান করবেন সেটা তো গণমাধ্যমে জানিয়ে দেবো, এটা প্রকাশ্য। পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে দলের নেতাকর্মী সবাই অবহিত হবে এটাতো গোপন রাখবো না।
দলের মহাসমাবেশ অবিস্মরণীয় সমাবেশ আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, গাবতলী, উত্তরা, নয়াবাজার ইউসুফ মার্কেট, শনির আখড়া মুক্তি সরণিতে শনিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকার প্রবেশপথে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি সফল করার জন্য ঢাকাবাসীসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব নেতাকর্মীকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকের মহাসমাবেশ ছিল ঐতিহাসিক এবং সাম্প্রতিককালের এক অবিস্মরণীয় জমায়েত। এই জমায়েত বাধাগ্রস্ত করার জন্য পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ঢাকাসহ দেশব্যাপী মহাতাণ্ডব শুরু করে। ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে নেতাকর্মীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে, যানবাহন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, পকেট তল্লাশি করা হয়েছে, মোবাইলফোন চেক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন বন্ধ করার পরও মানুষের ধাবমান স্রোতকে রুদ্ধ করা যায়নি। হিংসা-প্রতিহিংসার রাজনীতিকে মানুষ যে ঘৃণা করে, আজকের মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করে এটিরই জবাব দিয়েছে বিপুল মানুষ। শেখ হাসিনার স্বেচ্ছাতন্ত্র এখন পচে-গলে বিকৃত হয়ে গেছে। স্বৈরাচারের উগ্র প্রতিমূর্তি শেখ হাসিনার সরকারের পতন অনিবার্য।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন: