thecitybank.com
banglarkatha62@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২

ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম (শ্রাবণ) কে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে

নিজস্ব রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৯ আগষ্ট ২০২৩, ২০:৫৭

সংগ্রহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম (শ্রাবণ) কে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কাজী রওনকুল ইসলাম (শ্রাবণ) ‘ দিব্যি সুস্থ থাকলেও বিএনপি তাকে অসুস্থ আখ্যা দিয়ে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে।


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছেন সংগঠনটির বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান। সংগঠনের বর্তমান সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলামকে অসুস্থতার কারণে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

ছাত্রদল সূত্র জানায়, শ্রাবণ শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায়ও তিনি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।


নেতারা বলেন, ছাত্রদল সভাপতি শ্রাবণ সংগঠনের মধ্যে গ্রুপিং জিইয়ে রেখেছেন। যার কারণে সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ ছাড়া গত ২ আগস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে সাজা দেওয়ার ঘটনায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিলেও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার রেশ পরবর্তীতেও অব্যাহত থাকে, যা একপর্যায়ে দলের হাইকমান্ডের নজরেও আসে। এ জন্য ছাত্রদল সভাপতিকে দায়ী করেন অনেকে নেতা।

এছাড়াও গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সেভাবে নামেননি। এ জন্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সভাপতির সাংগঠনিক ব্যর্থতাকেও দায়ী করা হয়। ছাত্রদল সভাপতির ওইদিন ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরা এলাকায় থাকার কথা ছিল।

 

অভিযোগ উঠেছে- তিনি সেখানে যাননি। বিকেলের দিকে তিনি খিলক্ষেত এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেন। বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে দায়িত্বে অবহেলার কারণেই মূলত শ্রাবণের বিরুদ্ধে এ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে দাবি অনেকের। এটা এক ধরনের ‘সম্মানজনক শাস্তি’। অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও শ্রাবণের পথ অনুসরণ করা হতে পারে।

তবে, সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে, সে সময় আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত ছাত্রদলের সভাপতিকে এভাবে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ভালোভাবে নেননি অনেকে। তাদের মতে, এ মুহূর্তে ছাত্রদল সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে আন্দোলনে। এ ঘটনায় ছাত্রদলে কোন্দল আরও ঘনীভূত হবে। শ্রাবণ সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি অনেকের। বিষয়টি নিয়ে শ্রাবণের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর