প্রকাশিত:
২৬ আগষ্ট ২০২৩, ২০:৫৫
শনিবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক কণ্ঠ বাংলাদেশ আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রয়োগে নাগরিক সমাজের ভূমিকা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন।
সারাবিশ্বেই স্বৈরাচার মানুষের শত্রু, এরা মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে এরচেয়ে আরও খারাপ হচ্ছে গণতন্ত্রের ভান ধরা স্বৈরাচার।
ড. মঈন খান আরও বলেনছেন, সরকারের প্রতি অনুরোধ থাকবে মানুষের চাওয়ার দিকে তাকান। স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দিন। এতে লজ্জার কিছু নেই।
তিনি বলেন, সরকার বিদেশে ও মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু বিপজ্জনক হলো তারা মুখে বলে গণতন্ত্র। আর যা করে, তা পুরোটাই উল্টো। সেটাই বাংলাদেশে হচ্ছে। গত ১৪ বছর ধরে সারাবিশ্বে দেশকে গণতন্ত্রকামী বলে প্রচার করে যে ফানুস উড়িয়েছে, তা এখন ফুটে গেছে। এখন দেশ এবং সারাবিশ্বে এটা প্রচার হয়ে গেছে, দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। সেজন্য বিশ্ব আজ হস্তক্ষেপ করছে এই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য।
মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্র দিয়ে। এটি যদি না থাকে তাহলে বাংলাদশের মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্রগঠন সব কিছু অর্থহীন হয়ে যাবে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। বর্তমানে দেশে আবারও বাকশাল কায়েম করেছে, অলিখিত বাকশাল।
‘অস্ত্র, লগিবৈঠা দিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করা যায়, তবে এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করতে পারবে না, পারেনি। সরকার বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে। এর মাধ্যমে তারা কোনোদিন মানুষের মন জয় করতে পারবে না। এই সরকার প্রচার করে দেশে মেগা উন্নয়ন হয়েছে। তবে এর মাধ্যমে দেশে মেগা দুর্নীতি করেছে সরকার।’
তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। তবে আমরা এটি ফিরিয়ে আনবো গণতান্ত্রিক উপায়ে। আমরা লগিবৈঠার রাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। এই সরকার শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দিক, সেটাই চাই। সরকারের প্রতি অনুরোধ থাকবে মানুষের চাওয়ার দিকে তাকান। স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দিন। এতে লজ্জার কিছু নেই।
মন্তব্য করুন: